বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢুকতেই ধাক্কা। হল অব ফেমের বদলে মূল মঞ্চ এর প্রবেশপথে। আর দর্শকদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে গাড়ি রাখার জায়গাটায়।শামিয়ানা আর বিজ্ঞাপনের ব্যানারে ঢাকা পুরো এলাকার সাজসজ্জাই অন্য রকম।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বার্ষিক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘বাটেক্সপো নাইট-২০১০’। ২৫ নভেম্বর ছিল এর উদ্বোধনী।
শুরুতেই মঞ্চের পেছন থেকে ভেসে এল অচেনা কণ্ঠস্বর। ঘোষণা দিলেন মঞ্চে আসবেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর। উপস্থাপিকার নাম তখনো অজানা। মোনালি শুরু করলেন রেস সিনেমার গান ‘জারা জারা টাচ মি’। এরপর আরও নানা জনপ্রিয় গান। ফাঁকে ফাঁকে শ্রোতা-দর্শকদের সঙ্গে বাংলায় নিজের অনুভূতিও ভাগাভাগি করে নিলেন কলকাতার এই মেয়ে। গাইলেন বাংলা গান।
উপস্থাপিকা শ্বেতা তিওয়ারি মঞ্চে ডাকলেন ‘ইয়া আলি’খ্যাত গায়ক জুবিন গার্গ। শুরু করলেন এ গানটি দিয়েই। বাংলা হিন্দি মিলিয়ে আরও বেশ কয়েকটি গান গেয়ে মঞ্চ থেকে নামলেন।
এরপর এলেন নাচ বালিয়েখ্যাত জুটি আমির-সানজিদা। নানা গানের সঙ্গে দুর্দান্ত নাচে দর্শক ততক্ষণে মন্ত্রমুগ্ধ। কৃষ্ণার সঙ্গে নাচলেন বলিউডের আইটেম গার্ল কাশ্মীরা শাহ। মানব-শ্বেতা জুটিও নাচলেন। আলো-আঁধারির খেলায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তখন অন্য পরিবেশ।
এই নাচ-গানের চমকটা ছিল যে আয়োজনকে কেন্দ্র করে, তা ফ্যাশন শো। বাংলাদেশে তৈরি পোশাকগুলো তুলে ধরাই ছিল বাটেক্সপো নাইটের মূল উদ্দেশ্য। লাল, কালো ও সাদা—তিনটি রঙে নানা রকম পোশাক পরে মঞ্চে হাঁটেন মডেলরা। শুরুটা করে ফারদিন ও রুমা। তাঁদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনার পর মঞ্চে হাঁটলেন অন্যান্য মডেল। লুনার কোরিওগ্রাফিতে ফ্যাশন শোতে অংশ নেন টুম্পা, রুহি, মৌসহ অনেকে। পোশাকের সঙ্গে চোখ ধাঁধানো সব গয়না সরবরাহ করেছে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড।
ক্রেতাদের মন কাড়তে এই আয়োজন পুরোপুরি সফল, তার প্রমাণও মিলেছে। দুই দিনের এই আয়োজনের পর বিজিএমইএ পেয়েছে ৫৬ কোটি টাকার পোশাকের ফরমায়েশ।
ঝলমলে এ আয়োজনে ছিল রুশ অ্যাক্রোব্যাট দলের চমৎকার পরিবেশনা।
No comments:
Post a Comment